সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করলে, তা কখনো বিফলে যায় না। শুধু দক্ষতা অর্জন নয়, সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবেই, আপনি সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন। ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাবেন না। নিজেকে ভিন্ন ভাবে গড়ে তুলতে যত ধরণের ভালো মানের উত্তোরাধুনিক দক্ষতা রয়েছে অর্জন করতে হবে। টাকার পিছে না দৌড়ে, দক্ষতার পিছে দৌড়ান। যখন আপনার কাজে আপনি পটুত্ব অর্জন করবেন, টাকা এমনিতেই চলে আসবে। টাকার নেশা বড়ই জটিল এক নেশা। আপনার পুরো অর্থনৈতিক ও পারিবারিক জীবনকে ঠেলে দিতে পারে হুমকির মুখে। দেখবেন, টাকার নেশায় পড়ে মানুষ জুয়া খেলে নিজের পকেটের টাকাও শেষ করে ফেলে ফতুর হয়ে যায়। এজন্য বলি অভাব ভালো, টাকার নেশা খুবই খারাপ। অভাববোধ মূল্যায়ন সৃষ্টি করে। দেখবেন, যারা জীবনে অভাব কি জিনিস দেখে নাই, তারা টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদের কদর করে না; মানুষকে সম্মান করে না। পাশ দিয়ে মুরুব্বি ধরনের লোক হেটে গেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। এজন্য মানব মস্তিষ্কে অভাববোধ সৌজন্য ও পরিমিতিবোধেরও জন্ম দেয়। অভাব মানুষকে অন্যের দারস্থ করে। জীবনবোধ শেখায়। টাকার নেশায় পড়ে বহু মানুষ পড়ালেখা করে নাই। দেখেছি, তারা চিরকালই একই ধরনের পেশা অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ
সবার জীবনের গতি এক রকম হবে না। এটাই স্বাভাবিক। অপরদিকে, ব্যক্তিভেদে সব কিছুই আলাদা হবে। এটাও স্বাভাবিক। দেখা যায়, একজন ব্যক্তি খুব দ্রুতই জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে; হঠাৎ দেখা গেলো তার গ্রোথ স্লো হতে হতে হারিয়ে গেছে। চরম হতাশ! আবার একজন কচ্ছপের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে; জীবনের শেষ পরতে দেখা যাচ্ছে সে জয়ী। জয় সে ছিনিয়ে এনেছে। জীবন তাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, দিচ্ছে। কারণ, যে দ্রুত আগায় সে কিছুক্ষন পর শক্তি ও উৎসাহ দুটোই হারিয়ে ফেলে। তাছাড়াও, তার চলার পথটা অজানাই থাকে। গাড়ি দ্রুত চললে যেমন আশপাশের কোন কিছুই ভালোভাবে দেখা যায় না; ঠিক তেমনি। জীবনে যত গতি, তত ক্ষতি। আর যে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে; চলতে চলতে সে তার আশপাশের প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে গ্রহণ-বর্জন করতে পারে। জানাটা সহজ হয়। জেনে, বুঝে অগ্রসর হলে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। আর এই জানা-বোঝাটা থাকলে আপনার জয় নিশ্চিত। এর সাথে শুধু সময়ের সদ্ব্যবহারটা জানলেই বাজিমাত। দুনিয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না। কাজেই, যা করবেন ভাবছেন তা জেনে, বুঝে করুন; ধীরে ধীরে অগ্রসর হোন; সময়ের সদ্ব্যবহারটা শিখুন। এখান থেকে ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে জীবনের জন্য।