সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোড়

সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করলে, তা কখনো বিফলে যায় না। শুধু দক্ষতা অর্জন নয়, সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবেই, আপনি সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন। ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাবেন না। নিজেকে ভিন্ন ভাবে গড়ে তুলতে যত ধরণের ভালো মানের উত্তোরাধুনিক দক্ষতা রয়েছে অর্জন করতে হবে। টাকার পিছে না দৌড়ে, দক্ষতার পিছে দৌড়ান। যখন আপনার কাজে আপনি পটুত্ব অর্জন করবেন, টাকা এমনিতেই চলে আসবে। টাকার নেশা বড়ই জটিল এক নেশা। আপনার পুরো অর্থনৈতিক ও পারিবারিক জীবনকে ঠেলে দিতে পারে হুমকির মুখে। দেখবেন, টাকার নেশায় পড়ে মানুষ জুয়া খেলে নিজের পকেটের টাকাও শেষ করে ফেলে ফতুর হয়ে যায়। এজন্য বলি অভাব ভালো, টাকার নেশা খুবই খারাপ। অভাববোধ মূল্যায়ন সৃষ্টি করে। দেখবেন, যারা জীবনে অভাব কি জিনিস দেখে নাই, তারা টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদের কদর করে না; মানুষকে সম্মান করে না। পাশ দিয়ে মুরুব্বি ধরনের লোক হেটে গেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। এজন্য মানব মস্তিষ্কে অভাববোধ সৌজন্য ও পরিমিতিবোধেরও জন্ম দেয়। অভাব মানুষকে অন্যের দারস্থ করে। জীবনবোধ শেখায়। টাকার নেশায় পড়ে বহু মানুষ পড়ালেখা করে নাই। দেখেছি, তারা চিরকালই একই ধরনের পেশা অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

বাস্তব জীবন বোধ

সবার জীবনের গতি এক রকম হবে না। এটাই স্বাভাবিক। অপরদিকে, ব্যক্তিভেদে সব কিছুই আলাদা হবে। এটাও স্বাভাবিক। দেখা যায়, একজন ব্যক্তি খুব দ্রুতই জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে; হঠাৎ দেখা গেলো তার গ্রোথ স্লো হতে হতে হারিয়ে গেছে। চরম হতাশ! আবার একজন কচ্ছপের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে; জীবনের শেষ পরতে দেখা যাচ্ছে সে জয়ী। জয় সে ছিনিয়ে এনেছে। জীবন তাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, দিচ্ছে। কারণ, যে দ্রুত আগায় সে কিছুক্ষন পর শক্তি ও উৎসাহ দুটোই হারিয়ে ফেলে। তাছাড়াও, তার চলার পথটা অজানাই থাকে। গাড়ি দ্রুত চললে যেমন আশপাশের কোন কিছুই ভালোভাবে দেখা যায় না; ঠিক তেমনি। জীবনে যত গতি, তত ক্ষতি। আর যে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে; চলতে চলতে সে তার আশপাশের প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে গ্রহণ-বর্জন করতে পারে। জানাটা সহজ হয়। জেনে, বুঝে অগ্রসর হলে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। আর এই জানা-বোঝাটা থাকলে আপনার জয় নিশ্চিত। এর সাথে শুধু সময়ের সদ্ব্যবহারটা জানলেই বাজিমাত। দুনিয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না। কাজেই, যা করবেন ভাবছেন তা জেনে, বুঝে করুন; ধীরে ধীরে অগ্রসর হোন; সময়ের সদ্ব্যবহারটা শিখুন। এখান থেকে ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে জীবনের জন্য।

আপনার সম্পদ

পৃথিবীতে আপনার জন্য সবকিছু নিস্ক্রিয় হয়ে গেলেও, দুটো জিনিস কখনোই স্থবির হবে না। এক. ব্যক্তিগত দক্ষতা। দুই. অর্জিত জ্ঞান। এ দুটোর যথাযথ ব্যবহার আপনাকে করে তুলতে পারে অনন্য। আর এ সব কিছুর উর্ধ্বে 'সময়'। যা আমরা হেলায় নষ্ট করি। ছদ্মবেশী বন্ধুর পিছে অপচয় করি। এটা একান্তই বোকামী বৈ কিছুই না। ভালো বন্ধুর চেয়ে দক্ষ-সৎ-বুদ্ধিমান বন্ধু উত্তম। বর্তমানে মেলে না। পেয়ে যে হারায়, সে মহা বোকা। আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা পর্যবেক্ষণের। যত্রতত্র মিশে যাওয়াটা রপ্ত করেছি তজ্জন্যে। গবেষণার খাতিরে অনেক কিছুই খতিয়ে দেখতে হয়। মানুষের প্রতিটি আচরণ, কথা ও কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ কঠিনতর একটি কাজ। যেটার চেষ্টা করি। তবে, দীর্ঘদিনের চর্চার ফলে বিষয়গুলো এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে।

আসুন নিজেকে জানি; অন্যকে বোঝার চেষ্টা করি

খুবই সংক্ষেপে বলছি! একবার একজন বিমান বন্দরের কেরানি বিমান চালানোর উপর একটি বই কিনলো; যা হয় আর কি! কিতাবী পাণ্ডিত্য জাহির করতেই হবে! বই কিনে, মনের আনন্দে একখান বিমান নিয়ে উড়াল দেয়ার ফন্দি এটে; একপাতা পড়ে, আর সেটা অনুযায়ী স্টেপ বাই স্টেপ বিমান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। মনের আনন্দে নিজের ইচ্ছা মত আকাশে উড়াল দিতে থাকে। বইয়ের পাতা শেষ হওয়ার পথে। এখন নামার প্রক্রিয়া। পড়তে পড়তে শেষ পাতায় গিয়ে দেখে লেখা আছে, বিমান নামানোর প্রক্রিয়া জানতে বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড পড়ুন।  কিরাম ডা লাগে! সেটা তো কিনে নাই! এজন্য বলা হয়, অনুকরণ, মুখস্তবিদ্যা আর স্বেচ্ছাচারী-মূর্খ-আচরণ; সব সময়ই ক্ষতির কারণ। বাস্তবতার আলোকে নিজেকে বুঝতে শেখা আর নিজের প্রয়োজন ও অন্যের মনস্তত্ব অনুধাবন এবং কর্মপন্থার অনুশীলনই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বোঝো নাই ব্যাপারটা!

প্রত্যুজ্জীবন

মানুষ যখন নানান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে; তখন সে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। সে তখন নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হয়ে বহুধা বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে থাকে। এ অভিজ্ঞতাগুলো চলার পথের মহা পাথেয় হয়ে থাকে সারাজীবন। জীবনে আপনি যতবার সমস্যার সম্মুখীন হবেন; ততবার আপনি নিত্য নতুন সমাধানের পথ আবিষ্কার করবেন। এ আবিষ্কারগুলো আপনার জীবনের মহা মূল্যবান সম্পদে পরিণত হবে। টাকা-পয়সা হাতের ময়লা; হাতে আসলে হাত ফস্কে বের হয়ে যায়; থাকে না; এটা সাময়িক, চিরকালীন নয়। কিন্তু, জীবনঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা ও আবিষ্কারগুলো থেকে যাবে চিরদিন। এগুলোই আসল সম্পদ। এগুলোই ব্যক্তি-মানুষকে সম্পদে পরিণত করে। যারা নিজেদেরকে সম্পদে পরিণত করতে পারে, তারা মরে গিয়েও মানবকুলে বেঁচে থাকে দীর্ঘকাল। কাজেই, জীবনঘনিষ্ঠ সমস্যাগুলোকে অবহেলা নয়; আবিষ্কার করুন নতুন নতুন সমাধানের; নিত্য নতুন পথের। দেখবেন, সমস্যাকে আর বিপদ মনে হবে না; তা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে হবে; সমাধান করে নিজেকে নিয়ে যাবেন এক অনন্য উচ্চতায়।

আধিপত্যকামী মানুষ ও বিরোধীতত্ত্ব

পৃথিবীর এমন কোন প্রাণী বা বস্তু নেই যে যার শত্রু নেই। একটু ভেবে দেখুন তো, আসলেই কথাটা কতটা যুক্তিযুক্ত। আপনিই হয়তোবা একটু আগেই কারো বিরোধীতা করে কথা বলেছেন। আবার কেউ হয়তোবা আপনার বিরোধীতা করে কটুক্তি করছে; যা আপনার অজানা। পৃথিবীতে সব কথা ও কাজের, প্রতিপক্ষ বা বিরোধী রয়েছে। চাইলেই আপনি তা নির্মূল করতে পারবেন না। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে এটা ছিল, আছে এবং থাকবে। তদনুসারে বুঝে এগিয়ে চলা বুদ্ধিমান লোকের পরিচয়। একে-অন্যের বিরোধ শুরু হয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। আধিপত্য বিস্তার সকল প্রাণীকুলের সমাজে চিরাচরিত রীতি। সেটা বুদ্ধিবৃত্তিক হোক বা বাহ্যিক অথবা অন্য যেকোন ধরনের। নিজের চিন্তা জগতেরও বিরোধ রয়েছে প্রতিটি মানুষের। আধিপত্যকামিতা মানুষের এক চরমতম রোগ। যার কারণে সমাজে নানান ধরনের অসঙ্গতি বিরাজমান ও সমাজ সমস্যা সংকুল। নিজস্ব ভাবনার যায়গা থেকে মানুষ হিসেবে যখন আপনি অন্য কাউকে অবমূল্যায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত হবেন; বিপত্তিটা বাধে ঠিক তখনি। অবমূল্যায়নের চেতনা জাগে নিজেকে জাহির করা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মনোবাসনা থেকে। নিজেকে অন্যের উপর জোর করে প্রতিষ্ঠা করা; নিজের ভালো লাগা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়াটা

প্রত্যুজ্জীবন

মানুষ যখন নানান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে; তখন সে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। সে তখন নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হয়ে বহুধা বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে থাকে। এ অভিজ্ঞতাগুলো চলার পথের মহা পাথেয় হয়ে থাকে সারাজীবন। জীবনে আপনি যতবার সমস্যার সম্মুখীন হবেন; ততবার আপনি নিত্য নতুন সমাধানের পথ আবিষ্কার করবেন। এ আবিষ্কারগুলো আপনার জীবনের মহা মূল্যবান সম্পদে পরিণত হবে। টাকা-পয়সা হাতের ময়লা; হাতে আসলে হাত ফস্কে বের হয়ে যায়; থাকে না; এটা সাময়িক, চিরকালীন নয়। কিন্তু, জীবনঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা ও আবিষ্কারগুলো থেকে যাবে চিরদিন। এগুলোই আসল সম্পদ। এগুলোই ব্যক্তি-মানুষকে সম্পদে পরিণত করে। যারা নিজেদেরকে সম্পদে পরিণত করতে পারে, তারা মরে গিয়েও মানবকুলে বেঁচে থাকে দীর্ঘকাল। কাজেই, জীবনঘনিষ্ঠ সমস্যাগুলোকে অবহেলা নয়; আবিষ্কার করুন নতুন নতুন সমাধানের; নিত্য নতুন পথের। দেখবেন, সমস্যাকে আর বিপদ মনে হবে না; তা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে হবে; সমাধান করে নিজেকে নিয়ে যাবেন এক অনন্য উচ্চতায়। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

অবাঞ্ছিত লোক পরিত্যাজ্য

যারা আপনাকে সম্মান দিয়ে কথা বলে না। যারা আপনাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সুরে তুই-তুকারি করে কথা বলে। আপনার শারীরিক গঠন নিয়ে রসিকতা করে। আপনার পরিবার নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে। আপনার সামাজিক অবস্থানকে হেয় করে। আপনার বংশ মর্যাদাকে খাটো করে দেখে। আপনার সামনে এসে প্রবল আত্মপক্ষ সমর্থন দেখায়। এক কথায়, এ ধরনের ছ্যাচড়া লোকজন জীবন থেকে চূড়ান্তভাবে পরিত্যাগ করুন। পৃথিবীতে বিকল্প সৎ মানুষের অভাব নেই। এরা আপনার বিপদে বন্ধুর পরিচয় দেবে না। আপনার মধু চেটে খাওয়া শেষ হয় গেলে শূণ্য মৌচাক ফেলে আপনাকে সহ রেখে চলে যাবে। আপনার দুঃসময়ে ফিরেও তাকাবে না। আপনার উপকারের কথা তখন উল্টো অপকারের গল্পে পরিণত করবে। এরা চিরকালীন কৃতঘ্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এরা অসামাজিক, অসভ্য, অমানুষ। সময় গেলে মানসিক কষ্টে ভুগবেন; সময় থাকতে পরিত্যাগ করা শ্রেয় বলে বোধ করি। আমাদের মূল সমস্যা আমরা এখনো সভ্যতার আলোয় আলোকিত হতে পারেনি। পড়ালেখা যারা শিখছে, তারা কিছুটা বুঝতে শেখে। আর যারা জানে না বা অল্পই জানে তারা তো রীতি মত অসভ্যতার নিগড়ে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এরা মূল্যবোধহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মূল্যবোধহীন। শ্রদ্ধাশীলতা

শিষ্টাচারবোধ ও সামাজিক অসভ্যতা

ব্যক্তির অসভ্যতা ও অসামাজিক আচরণ পরিমাপের সহজবোধ্য উপায় হচ্ছে তার শিষ্টাচারবোধের পারদ নিরেখ করা। যেটাকে কর্পোরেট দুনিয়ায় এটিকেট বলে। এটা সবার মধ্যে থাকে না। এটা সম্পূর্ণটাই শিখনফল। ছোটবেলা থেকে পরিবার ও শিক্ষালয়ের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। সবার পারিবারিক কাঠামো সমান না; আবার বিভিন্ন কারণে সবাই উন্নত শিখন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না। তবে, চেষ্টা করলে যে কেউ শিষ্টাচারবোধ অর্জন করতে পারে; স্বশিক্ষার মাধ্যমে। যদিও এটার দেখা মেলা ভার। যার বোধের পারদ যত উচ্চ, তার শিষ্টাচারবোধ তত উন্নত। দেখবেন, কিছু অসভ্য রয়েছে যারা সব মানুষের সাথে একই অসভ্য আচরণে অভ্যস্ত। আপনি যেই হোন, ব্যক্তিভেদে আপনার আচরণের পারদ আলাদা করতেই হবে। কারণ, সব মানুষই আলাদা; কেউ কারো মত নয়। ১৯/ ২০ হতে পারে। তাই বলে কারো সাথে অসদাচরণ করা যাবে না। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সম্বোধন পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। আপনার যোগাযোগের দক্ষতার উপর এটা মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। উন্নত মস্তিষ্কের সঙ্গ হাতছাড়া হয়ে যাবে। বহু সৎসঙ্গ আপনাকে পরিত্যাগ করবে। সময়ের ব্যবধান মাত্র। আর যদি আপনার শিষ্টাচার বোধের পারদ নিম্নগামী হয় এব

এককথায় সফলতা ও ব্যর্থতার সংজ্ঞা

সফলতা বলতে বোঝায় লক্ষ্যের দিকে নিরন্তর ছুটে চলা। লক্ষ্যের পিছে সেঁটে যাওয়া। লক্ষ্যচ্যূত হয়ে থেমে যাওয়া, ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করার সামিল। যেখানে থেমে যাবেন, সেখান থেকেই আপনার ব্যর্থতার রথকেতুর উড়ান উপক্রম হবে।

ছোটলেখা (৮৩২-৯৪০)

৯৩২. ধরুন, পহেলা বৈশাখ পালন করাকে কেন্দ্র করে দু'টো পক্ষ রয়েছে। একপক্ষ মনে করে, এটা পালন করা যাবে না। আর এক পক্ষ মনে করে, এটা পালন করা যাবে। উভয়েই এটাকে কেন্দ্র করে স্যোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনার ঝড় তুললো। তাতে করে বিষয়টা কি দাড়ালো! পহেলা বৈশাখ প্রোমোটেড। যে জানতো না পহেলা বৈশাখ কি জিনিস, সেও এখন জানে! দিন বদলে গেছে। সব কিছুতে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্যের প্রয়োগে প্রসার লাভ করছে। মাথা মোটা, একগুয়েরা এগুলো কোনদিন বুঝবে না। নিজেকে পণ্যের আকরে ঠেলে দেয়, নিজের অজান্তেই। বেচারা নিজেকে মহৎ-জ্ঞানী ভেবে বসেছেন। বাহ্ বাহবা! পেয়েছে, খেয়েছে। ভালমন্দ চিন্তা করে দেখার সময় নেই। যখন কোন বিষয়ের দুটো পক্ষ দাড়িয়ে যায়। তখন পক্ষে থাকা লোকগুলো দিনশেষে জয়ী না হলেও লাভবান হয়। পক্ষের লোক বেশি থাকে। বিপক্ষে থাকে কম। তবুও, সময়ের ব্যবধানে এই অল্প সংখ্যক লোকই একদিন জয় ছিনিয়ে আনে। কারণ, বেশিতে বিশৃঙ্খল। ৯৩৩. টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, বেশ-ভূষা দিয়ে মানুষের জ্ঞান-প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন আসে না। চিন্তা-ভাবনা, কর্ম-আচরণ, লেনদেন ইত্যাদির উপরই জ্ঞান-প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন আসে। উপরোক্ত

সুখ-শান্তির প্যাঁচ

আপনি হয়তোবা ভাবছেন, আপনার পাশের লোকটি কতই না সুখ-শান্তিতে আছে। কিন্তু, ঐ ব্যক্তিই জানে সে কতটা কষ্ট আর অশান্তি নিয়ে জগতে বাস করছে। আমরা আসলে অন্যকে নিয়ে কাল্পনিক চিন্তা-ভাবনা করতে, বেশি ভাবতে পছন্দ করি; আর অন্যের দুঃখ-কষ্টকে তুচ্ছ করে দেখি। এটা ঐ কাল্পনিক সুখ অনুভবেরই অংশ। যা আসলে বাস্তবে পাওয়া যায় না। সম্ভবত, অন্যকে ভেবে কাল্পনিক সুখ অনুভব বাঙালিপনার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির রক্তে-মাংসে মিশে আছে মিথ্যে সুখ অনুভবের কেচ্ছা। চিরাচরিত ব্যাপার। জগতের সব মানুষ ভালো আছে; আমি যে ভালো নেই, এটা বাস্তবে হোক আর কথাচ্ছলে হোক বুঝাতে হবেই। অনুভূতি এতই প্রবল যে পান থেকে চুন খসলেই সব শেষ, এমন একটা ভাব নিয়ে চলে। জীবন মানেই দুঃখ-কষ্ট এবং সমস্যা। আর সমাধান করে এগিয়ে যাওয়ার নাম মানুষ। প্রাণ থাকলে প্রাণী; সাথে বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞান-প্রজ্ঞা থাকলে হয় মানুষ। এগুলো মানুষকে প্রাণীর কাতার থেকে প্রকৃত মানুষে রূপান্তরিত করে। আমার পিতামহ বলতেন, "ভালমন্দ মিলিয়েই মানুষ। এর ব্যত্যয় ঘটবে না। দুটোই সব মানুষের জীবনে থাকবে।" একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার কি কি আছে। যেটা অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করে; আপনার স্বাতন্

রাজকীয় মস্তিস্কে, রাজপ্রসূত ভাবনা

রাজনৈতিক ব্যাপার। মানুষ বলে, শালার পশ্চাতে বাঁশ দিয়েছে, আসলেই কি বাস্তবের বাঁশ পশ্চাতে ঢোকানো সম্ভব! সম্ভব না। কৌশলে বোঝানো হচ্ছে, ঢোকানো হচ্ছে অনেক কিছু। বুঝতে হবে, বোঝার চেষ্টা করতে হবে। রাজনীতি রাজার নীতি, বুঝতে হলে রাজকীয় মস্তিষ্ক দরকার! কথার কথা বললাম। কারণ, কথার পশ্চাতে অনেক কথা থাকে। খুঁজে বুঝতে হয়। অপরিণত মস্তিস্কে রাজপ্রসূত ক্রিয়াকলাপ বোঝা মুশকিল। অভাববোধের যায়গা থেকে দুড়ুম করে গালি দেয়া সহজ। কিন্তু, বোধের পারদ উঠিয়ে বোঝা ভয়ানক কঠিন। রাজনীতির কোন কলকাঠি কখন নাড়াবে বা নড়বে বোঝা বোদ্ধার কাজ। না বুঝে গালি দেয়া, নির্বোধের কাজ। যথাযথ চর্চা ব্যতিরেকে তা বোঝা মুশকিল। রাজনীতির র বোঝার জন্য জানতে ও বুঝতে হবে, উদ্দেশ্য-বিধেয়। যে চলে আর যে চালায়, পার্থক্য রয়েছে উভয়ের। বোধ শিকেয় তুলে গালি-গালাজ করা আর মানুষ চরানো আকাশ-পাতাল ভাবনা ও বোধের ব্যাপার।

অপরিণামদর্শী চেতনার আস্ফালন

ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে জানতে পারি, মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসের প্রায় পুরোটা ধর্মযুদ্ধের ইতিহাস। প্রায় প্রত্যেকটা যুদ্ধে কোন না কোনভাবে ধর্মীয় চেতনার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। মধ্য যুগে ইউরোপে খ্রীষ্টানরা বর্তমানের মুসলমানদের মতই নিজেদের মধ্যে ব্যাপকতর ফেতনা-ফাসাদে লিপ্ত হত। যা তাদের ধর্মকে বিকৃত করেছে এবং অপরিণামদর্শী ধর্মবিদদের ধর্মীয় চেতনার অনাচারে অতীষ্ঠ হয়ে সাধারন ধর্মাচারীর বিরাট এক অংশ ধর্মচ্যূত হয়ে গেছে বা ধর্ম বিকৃতির শিকার হয়েছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে যারা ধর্ম সম্পর্কে বেশ অবগত ছিল, তারাই কিন্তু ধর্মীয় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করেছিল; অর্থাৎ, তদানীন্তন খ্রীষ্টান পাদ্রীরা। কারণ, যে জানে না, তার মাথায় সে বিষয় আসবেই না। এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে খ্রীষ্টান জগৎ একেবারে ঠান্ডা মাথায় ধর্মাচারে লিপ্ত। মুসলমান মানে উত্তপ্ত। কিন্তু, কুরআন, সুন্নাহ অনুযায়ী মুসলমানের যে বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিৎ, তা নাই বললেই চলে। নিজে ঠিক থাকে না, অন্যকে নিয়ে বেজায় ব্যস্ত আমরা মুসলমান। কিন্তু মরে গেলে, আল্লাহ বান্দার নিজের কর্মের হিসাব নিবেন। অন্যের হিসাব আপনাকে দিতে হবে না। নিস্তার পেতে অন্যকে নিয়ে ন

ব্যক্তি চেতনার কিছু দিক

যে ব্যক্তি যে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে, সে ব্যক্তি সে কাজ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করে; মানুষের কাছে সে কাজকে সবচেয়ে উত্তমরূপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। মানে তার মাথায় সেটা ঘুরপাক খায়। এটা স্বাভাবিক। তবে, সমস্যাটা হচ্ছে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অন্যকে বা অন্যের কাজকে ছোট করে দেখার প্রবণতা। "মুই কি হনুরে; গো-ধরা"। ভাইরে, মানুষ সামাজিক জীব। একে-অন্যের উপর নির্ভরশীলতা মানুষকে যুথবদ্ধ হতে উৎসাহ যোগায়। প্রজ্ঞাবানের নিকট নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করার মানেই হয় না। আপনার কাছে যেটা অপ্রয়োজনীয়, আরেকজন সেটা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে; কারণ, তার প্রয়োজন। আমি সব সময়ই বলি, "পৃথিবীতে কেউ কারো মত নয়, সবাই যার যার মত।" আসুন, বুঝতে শিখি।

ফ্রিল্যান্সিং করে ৫ লাখ বা ১০ লাখ টাকা আসলেই কি কামানো সম্ভব?

যে বা যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন; তাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, এখানে সফলতার হার খুবই কম। সকল বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে সফলতার সাথে টিকে থাকে মাত্র ২ শতাংশ। ক্যারিয়ারে ভালো করে ১ শতাংশ। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখলে সেটাই প্রমাণিত হয়। আমি কাউকে নিরুৎসাহিত করছি না। সত্যটা শুধু উপস্থাপন করছি মাত্র। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে যদি কেউ ঝাপিয়ে পড়েন; আপনার কপাল পুড়েছে বলতেই হয়। স্ক্যামের শিকার হলে, লোভের মাত্রা বেড়ে যায়। তখনই মানুষ উন্মাদের মত ঝাপিয়ে পড়ে এবং ক্ষতি করে, ক্ষতির শিকার হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে সময়, শ্রম দেয়ার ও প্রতিনিয়ত শেখার মানসিকতা থাকতে হবে এবং এটা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। যারা ভালো করছে, দেখবেন তারা একাগ্রচিত্তে দীর্ঘ দিন ধরে লেগে ছিল। বর্তমানে স্বেচ্ছাই অন্তর্জাল ঘাটাঘাটি করে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব; তবে, মনে রাখতে হবে এটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। সামগ্রিকভাবে বললে দু'মাস, ছ'মাসে এখানে ভালো কিছু করা একেবারেই অসম্ভব। সর্বনিম্ন দু'বছর লেগে থাকার মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে। তবুও, টিকে থাকতে পারবেন কিনা সন্দে

সামাজিকীকরণের ধারণা

সমাজ পর্যবেক্ষনের যায়গা থেকে যতটুকু বুঝেছি, আপনার দাদা খেতে পেত না। আপনার বাবাকে কষ্ট করে, নিজে না খেয়ে, খাওয়ায়ে বড় করে গেছে। আপনি বাপের ধনে পোদ্দারি করেন। এই আর কি! বাপের ধনে পোদ্দারি করা সহজ। বাপের না থাকলে, বুঝতেন। একবিংশ শতকে যখন কামলা দেওয়া লাগতো, তখন বুঝতেন। রোদে পোড়ার জ্বালা কত! বাপের ধনে পোদ্দারি করে, মানুষকে ছোট ভাবা চিন্তার অস্বাভাবিক দীনতা। বোদ্ধাগণ আপনাকে কার্টুন মনে করে। মানে ভাড় মনে করে, বিনোদন ও হাসির পাত্রে পরিণত করে। আপনার প্রয়োজন না হলেও, সব পেশা পৃথিবীর প্রয়োজন। পৃথিবীর সব মানুষই সমান। পেশাগত কারণে কেউ ছোট-বড় হয় না। এটা একধরণের শঠতা। শোষন-শাসনের অপচেষ্টা। তবে হ্যাঁ, মানুষ তার চিন্তার সমান বড় বা ছোট হয়। বয়সের নিরিখে ছোট বড় হতে পারে। পেশা একটি বিষয়-নিরপেক্ষ ভাবমূলক ধারণা। ব্যক্তিভেদে আলাদা। একই কাজ বিভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে করে থাকেন। মেলে না। আপনি পেশাগত কারণে কাউকে ছোট ভাবলে, আপনার পূর্বপুরুষ ছোট ছিল, এটাই প্রমাণিত হয়। সব কথার এককথা, চিন্তার সংকীর্ণতা অন্যকে ছোট-বড় জ্ঞান করতে উৎসাহিত করে। নিজেকে ছোটলোক প্রমাণ করতে এটুকুই যথেষ্ট। যাদের সামাজিক দক্ষতার ঘাটতি রয়

ছোটলেখা (৯৩১)

৯৩১. নিজেকে কখনো উচ্চতর কিছু মনে করি না। একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচার তাগিদ অনুভব করি সব সময়। সবার সঙ্গে হেসে-খেলে দিনাতিপাত করি। কাউকে ছোট মনে করার মধ্যে কোন বাহাদুরি নেই। আপনার চেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্ন লোকগণ কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। আর আপনি নিজেকে অনেক বেশি যোগ্য মনে করে যেখানে বসে ছিলেন সেখানেই পড়ে আছেন। ভালো কিছু করতে হলে চেষ্টার উর্ধ্বে কিছুই নেই। হয় জিতবেন, না হয় শিখবেন। ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। ভয় মনের বিকার। অকাজে সময় অপচয় না করে, নতুন কিছু করতে সময় ব্যয় করা অনেক ভালো।

ইনস্যুরেন্সের রূপান্তরিত রূপ

♥ ইনস্যুরেন্স সেক্টরে বড় দাগে তিনটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এসেছে। এক . কোম্পানির মোবাইল  অ্যাপসে গ্রাহক তার সকল সেবা পাচ্ছে। দুই . মোবাইল ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেম (নগদ, বিকাশ, রকেট) এর মাধ্যমে প্রিমিয়ামের টাকা স্বহস্তে বাড়ি বসে জমা দিয়ে ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল রিসিপ্ট পাচ্ছে। কোম্পানির অ্যাপসের মাধ্যমে চেক করেও দেখা যাচ্ছে যে তার জমাকৃত টাকা তার পলিসিতে ঠিকমত জমা হয়েছে কিনা। প্রিমিয়াম ডিউ (বকেয়া) আছে কিনা। তিন . সরকারের 'ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এণ্ড রেগুলেটরি অথরিটি'র সরাসরি নিয়ন্ত্রিত মোবাইল অ্যাপস 'বীমা তথ্যে'র মাধ্যমেও নিজের ইনস্যুরেন্সের সকল তথ্য নিজেই দেখতে পাচ্ছে। ♥ এখানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গ্রাহকের সাথে কোম্পানির সম্পর্কের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যায়গা তৈরি হয়েছে অনেক বেশি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সব কিছুই চাক্ষুষ প্রমাণ। সংশয় বা দ্বিধা থাকলে, আসুন দেখিয়ে দিচ্ছি, প্রমাণ সহকারে। কোন লুকাছুপ্পি নেই। আপনার কষ্টার্জিত টাকায় কেনা আর্থিক নিরাপত্তার সকল তথ্য এখন আপনার হাতের মুঠোয়। কারো যদি সন্দেহ হয় এ মর্মে যে ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরত পাওয়া যায় না; কতজনের সাক্ষাত লাগবে? আসুন

ইনস্যুরেন্স দাবিপ্রাপ্তি সমস্যার সমাধান

ইনস্যুরেন্সের কাজ করতে গিয়ে খুব বেশি যে অভিযোগটি শুনতে হয়, সেটা হচ্ছে ইনস্যুরেন্সের টাকা মেয়াদ শেষে পাওয়া যায় না। এখানে সমাধান পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারপরও আমরা জানি না, বিধায় আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। যাদের এমনটা ঘটেছে, তারা ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড রেগুলেটরি অথরিটির হেল্প লাইন ১৬১৩০ এ কল করে ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত যে কোন ধরণের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। তবে, শর্ত হচ্ছে আপনার কাগজপত্র সব ঠিক থাকতে হবে এবং সেটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সংক্রান্ত বিষয় হতে হবে। তানাহলে, প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কম; নাও পেতে পারেন। আর ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে যদি কারো ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত কোন সমস্যা হয়, সেটা যেকোন ধরণের সমস্যা হতে পারে। তাহলে নিঃসঙ্কোচে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি এবং আমার টিম যথাসাধ্য আপনাদেরকে সহযোগিতা করব। "আসুন সঠিক যায়গায়, সঠিক পন্থায় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির সহায়তায় ইনস্যুরেন্স করে নিজেকে, নিজের পরিবারের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখি ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।" যে কোন প্রয়োজনে নিঃসঙ্কোচে যোগাযোগ করুনঃ আব্দুর রহিম, ফাইন্যানসিয়াল এসোসিয়

ভালোটা খুঁজতে হয়। খারাপ, সেতো বারবার কড়া নাড়ে!

♣ ইনস্যুরেন্স কর্মী হিসেবে আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, মানুষ দেশীয়-আন্তর্জাতিক লেভেলের ভুল-ভাল, লোকাল, হায়হায়, এমএলএম, বাটপার টাইপের নামসর্বস্ব কোম্পানিতে বেশি লাভের লোভে পড়ে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে ঠকে দু'দিন পরেই বলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খারাপ। ♣ আমি খোঁজ-খবর নিয়ে গবেষণা করে দেখেছি যেগুলো আসলেই ইনস্যুরেন্স কোম্পানি না। তারা ক্ষেত্র বিশেষে বেআইনিভাবে ইনস্যুরেন্সের নাম করে টাকা নেয়। এমনকি অনেক সংস্থা রয়েছে, যাদের আমানত গ্রহণের এখতিয়ার নেই। তবুও, মানুষ না জেনে বেশির লোভে সংগোপনে সেখানে টাকা বিনিয়োগ শুরু করে, সঞ্চয় করে। এটা নিছক মূর্খতা! ♣ ব্যাটা, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খুলতে দম লাগে! ৪০০ কোটি টাকা সরকারকে জামানত দিয়ে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খুলতে হয়। শর্ত মেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক-এক্সেঞ্জের তালিভুক্ত হতে হয়। প্রতি মাসে প্রিমিয়াম আয়ের ৩০ শতাংশ সরকারী বন্ড কেনা বাধ্যতামূলক; যেটাকে গ্যারান্টি মানি বা লাইফ ফান্ড বলে। কমিশন, ব্যবস্থাপনার খরচ, স্টাফদের বেতন-ভাতার পরেই না আসে বিনিয়োগ; তার উপর নামসর্বস্ব কোম্পানিগুলোর ক্ষুরধার আঁচড় তো আছেই; আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা; সবকিছু সহ্য করে লা

ব্যাংক DPS ও লাইফ ইনস্যুরেন্সের মধ্যে পার্থক্য

১। কত বছরের জন্য DPS করবেন? ♦ ব্যাংকে ১০ বছর। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ১০ বছর। ২। কত হাজার টাকা মাসে জমা করবেন? ♦ ব্যাংকে ৫০০০ হাজার। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৫০০০ হাজার। (লাইফ ইনস্যুরেন্সে অল্প কিছু টাকা যোগ করে চিকিৎসা খরচও নেয়া যেতে পারে।) ৩। ১০ বছরে কত টাকা জমা দিবেন? ♦ ব্যাংকে ৬ লাখ টাকা।  ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৬ লাখ টাকা। ৪। কেন জমা করবেন? ♦ ব্যাংকে জমানো টাকায় একটি বাড়ি তৈরি করবেন। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে জমানো টাকায় একটি বাড়ি তৈরি করবেন। ৫। মেয়াদ শেষে কত পাবেন? ♦ ব্যাংকে ধরে নিলাম ০৯ লাখ হতে পারে। ♦ লাইফে ইনস্যুরেন্সেও ধরে নিলাম ০৯ লাখ+ হতে পারে। ৬। কোন কারণে ১ বছর পর জরুরী টাকার দরকার, এখন কি করবেন? ♦ ব্যাংকে সার্ভিস চার্জ কেটে নিয়ে আপনার জমা দেয়া টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনি কোন টাকা ফেরত নিতে পারবেন না। ৭। আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরির টাকা? ♦ ব্যাংক থেকে ফেরত নেয়া টাকা খরচ হয়ে গেল। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে অনিচ্ছায় জমা হয়ে থাকল। ৮। হঠাৎ কঠিন কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলেন, তখন? ♦ ব্যাংক আপনাকে কিছুই দিবে না। ♦ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত

লাইফ ইনস্যুরেন্স সমাচার

লাইফ ইনস্যুরেন্স বা জীবন বীমা কেন করবেনঃ মানুষের জীবন বা মৃত্যু যেটাই বলেন, সবই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হাতে। আমরা কেউই প্রিয়জনদের হারাতে চাই না; তবুও, আমাদের এই নির্মম সত্যের সম্মূখীন সবারই হতে হয়। এমনকি এটি সবার ক্ষেত্রে ঘটা স্বাভাবিক। কোন কারণে যদি এমনটা ঘটে যায়, তখন প্রিয়জনের মৃত্যুজনিত মানসিক বেদনার সাথে আর্থিক সংকটেরও মুখোমুখি হতে হয় সকলের পরিবারকে। ঠিক এই সময়ে একটি লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক বিপদ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা পালন করে। লাইফ ইনস্যুরেন্সের নিয়মানুযায়ী, ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে যদি গ্রাহকের মৃত্যু হয়, তাহলে তার পরিবার ইনস্যুরেন্স পলিসির সম্পূর্ণ টাকা পায়। ধরুন, আপনি ২ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই আপনি মারা গেছেন; সেক্ষেত্রে আপনার পরিবার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে পুরো ২ লাখ টাকা পাবে, যা আপনার পরিবারের আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে। আসুন পরিবারকে ভালোবাসি, এটাই চিরন্তনঃ আমরা মানুষ। আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পরিবারকে কেন্দ্র করে। আপনি মারা গেলে পরিবার

লক্ষ্যে যখন অবিচল থাকা কঠিন

ধরুন, আপনি লক্ষ্যে তীর তাক করেছেন; এমন সময় কেউ এসে আপনাকে কাতুকুতু দিল। আপনার অবস্থা কি হবে; আর তীরের অবস্থাই বা কি হবে? এই কাতুকুতু দেওয়া লোকের সংখ্যাই ঢের বেশি। লক্ষ্যে অটল থাকা কঠিন হয়ে যায় এদের জন্য। আরো একটা শ্রেনী আছে যারা শুধু প্রত্যাশার বাণী শুনিয়ে যারপরনায় হয়রানি করে মানুষকে। খুবই খারাপ, জঘন্য কাজ। প্রবাদে আছে, “বাচতে হলে, জানতে হবে।”