সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অপরিণামদর্শী চেতনার আস্ফালন


ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে জানতে পারি, মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসের প্রায় পুরোটা ধর্মযুদ্ধের ইতিহাস। প্রায় প্রত্যেকটা যুদ্ধে কোন না কোনভাবে ধর্মীয় চেতনার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

মধ্য যুগে ইউরোপে খ্রীষ্টানরা বর্তমানের মুসলমানদের মতই নিজেদের মধ্যে ব্যাপকতর ফেতনা-ফাসাদে লিপ্ত হত। যা তাদের ধর্মকে বিকৃত করেছে এবং অপরিণামদর্শী ধর্মবিদদের ধর্মীয় চেতনার অনাচারে অতীষ্ঠ হয়ে সাধারন ধর্মাচারীর বিরাট এক অংশ ধর্মচ্যূত হয়ে গেছে বা ধর্ম বিকৃতির শিকার হয়েছে।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে যারা ধর্ম সম্পর্কে বেশ অবগত ছিল, তারাই কিন্তু ধর্মীয় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করেছিল; অর্থাৎ, তদানীন্তন খ্রীষ্টান পাদ্রীরা। কারণ, যে জানে না, তার মাথায় সে বিষয় আসবেই না। এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে খ্রীষ্টান জগৎ একেবারে ঠান্ডা মাথায় ধর্মাচারে লিপ্ত।

মুসলমান মানে উত্তপ্ত। কিন্তু, কুরআন, সুন্নাহ অনুযায়ী মুসলমানের যে বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিৎ, তা নাই বললেই চলে। নিজে ঠিক থাকে না, অন্যকে নিয়ে বেজায় ব্যস্ত আমরা মুসলমান। কিন্তু মরে গেলে, আল্লাহ বান্দার নিজের কর্মের হিসাব নিবেন। অন্যের হিসাব আপনাকে দিতে হবে না।

নিস্তার পেতে অন্যকে নিয়ে নয়, নিজেকে নিয়ে ভাবুন। ভণ্ড-প্রতারকের কথায় না ভুলে, নিজের পথের সন্ধান নিজেই করুন। কারণ, মোনাফেক দেখতে হুবহু মুসলমানের মত! সাধু সাবাধান!

{ধর্ম ও ইতিহাস পঠন-পাঠন ও জানাশোনার যায়গা থেকে একান্তই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ; স্বপক্ষীয় টান, স্ব স্ব ব্যক্তির দায়।}