সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শিষ্টাচারবোধ ও সামাজিক অসভ্যতা


ব্যক্তির অসভ্যতা ও অসামাজিক আচরণ পরিমাপের সহজবোধ্য উপায় হচ্ছে তার শিষ্টাচারবোধের পারদ নিরেখ করা। যেটাকে কর্পোরেট দুনিয়ায় এটিকেট বলে। এটা সবার মধ্যে থাকে না। এটা সম্পূর্ণটাই শিখনফল। ছোটবেলা থেকে পরিবার ও শিক্ষালয়ের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। সবার পারিবারিক কাঠামো সমান না; আবার বিভিন্ন কারণে সবাই উন্নত শিখন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না। তবে, চেষ্টা করলে যে কেউ শিষ্টাচারবোধ অর্জন করতে পারে; স্বশিক্ষার মাধ্যমে। যদিও এটার দেখা মেলা ভার।

যার বোধের পারদ যত উচ্চ, তার শিষ্টাচারবোধ তত উন্নত। দেখবেন, কিছু অসভ্য রয়েছে যারা সব মানুষের সাথে একই অসভ্য আচরণে অভ্যস্ত। আপনি যেই হোন, ব্যক্তিভেদে আপনার আচরণের পারদ আলাদা করতেই হবে। কারণ, সব মানুষই আলাদা; কেউ কারো মত নয়। ১৯/ ২০ হতে পারে। তাই বলে কারো সাথে অসদাচরণ করা যাবে না।

আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সম্বোধন পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। আপনার যোগাযোগের দক্ষতার উপর এটা মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। উন্নত মস্তিষ্কের সঙ্গ হাতছাড়া হয়ে যাবে। বহু সৎসঙ্গ আপনাকে পরিত্যাগ করবে। সময়ের ব্যবধান মাত্র। আর যদি আপনার শিষ্টাচার বোধের পারদ নিম্নগামী হয় এবং আপনার মধ্যকার আচরণে অসভ্যতা ও অসামাজিকতা থেকে থাকে তাহলে আপনার পক্ষে এগুলো বোঝা অসম্ভব। খুপড়ির বাইরে ভাবতে শিখুন। খুপড়ি ছেড়ে বের হোন। উন্নত দুনিয়ার সঙ্গ নিন। দুনিয়াটা অনেক সুন্দর। এভাবে ভাবতে উদ্বুদ্ধ হোন।

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।