সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোড়


সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করলে, তা কখনো বিফলে যায় না। শুধু দক্ষতা অর্জন নয়, সময় উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবেই, আপনি সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন।

ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাবেন না। নিজেকে ভিন্ন ভাবে গড়ে তুলতে যত ধরণের ভালো মানের উত্তোরাধুনিক দক্ষতা রয়েছে অর্জন করতে হবে। টাকার পিছে না দৌড়ে, দক্ষতার পিছে দৌড়ান। যখন আপনার কাজে আপনি পটুত্ব অর্জন করবেন, টাকা এমনিতেই চলে আসবে।

টাকার নেশা বড়ই জটিল এক নেশা। আপনার পুরো অর্থনৈতিক ও পারিবারিক জীবনকে ঠেলে দিতে পারে হুমকির মুখে। দেখবেন, টাকার নেশায় পড়ে মানুষ জুয়া খেলে নিজের পকেটের টাকাও শেষ করে ফেলে ফতুর হয়ে যায়। এজন্য বলি অভাব ভালো, টাকার নেশা খুবই খারাপ।

অভাববোধ মূল্যায়ন সৃষ্টি করে। দেখবেন, যারা জীবনে অভাব কি জিনিস দেখে নাই, তারা টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদের কদর করে না; মানুষকে সম্মান করে না। পাশ দিয়ে মুরুব্বি ধরনের লোক হেটে গেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। এজন্য মানব মস্তিষ্কে অভাববোধ সৌজন্য ও পরিমিতিবোধেরও জন্ম দেয়। অভাব মানুষকে অন্যের দারস্থ করে। জীবনবোধ শেখায়।

টাকার নেশায় পড়ে বহু মানুষ পড়ালেখা করে নাই। দেখেছি, তারা চিরকালই একই ধরনের পেশা অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত। বহু লোক জীবনের মূল ধারা থেকে ছিটকে পড়ে গেছে বলে জানি। টাকার পাহাড় গড়ার চিন্তায়, টাকার গোলাম বনে গেছে তারা। ঋণের বেড়াজালে আটকে তাদের নাভিশ্বাস ঘটছে। পড়ালেখার চর্চা না থাকলে দ্রুতই ব্যক্তির একটা লিমিটেশন তৈরি হয়ে যায়। জীবনের প্রতি পদে পদে বাধা ও সীমাবদ্ধতার সম্মূখীন হয়।

পড়ালেখা না শিখে সবাই তো নজরুল, রবীন্দ্রনাথ বা বিল গেটস, ইলন মাস্ক, ওয়ারেন বাফেট হয় না। বরঞ্চ, তাদের নিয়ে পড়ালেখা, গবেষণা করে বহু লোক ডিগ্রি অর্জন করে। তাছাড়া, তারা একাডেমিক পড়ালেখা বাদ দিলেও, প্রচুর পড়ালেখা করেন। তাদের ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও যারা ফলো করেন, তাদের নিশ্চয়ই জানার কথা।