সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভালোটা খুঁজতে হয়। খারাপ, সেতো বারবার কড়া নাড়ে!


♣ ইনস্যুরেন্স কর্মী হিসেবে আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, মানুষ দেশীয়-আন্তর্জাতিক লেভেলের ভুল-ভাল, লোকাল, হায়হায়, এমএলএম, বাটপার টাইপের নামসর্বস্ব কোম্পানিতে বেশি লাভের লোভে পড়ে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে ঠকে দু'দিন পরেই বলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খারাপ।

♣ আমি খোঁজ-খবর নিয়ে গবেষণা করে দেখেছি যেগুলো আসলেই ইনস্যুরেন্স কোম্পানি না। তারা ক্ষেত্র বিশেষে বেআইনিভাবে ইনস্যুরেন্সের নাম করে টাকা নেয়। এমনকি অনেক সংস্থা রয়েছে, যাদের আমানত গ্রহণের এখতিয়ার নেই। তবুও, মানুষ না জেনে বেশির লোভে সংগোপনে সেখানে টাকা বিনিয়োগ শুরু করে, সঞ্চয় করে। এটা নিছক মূর্খতা!

♣ ব্যাটা, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খুলতে দম লাগে! ৪০০ কোটি টাকা সরকারকে জামানত দিয়ে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খুলতে হয়। শর্ত মেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক-এক্সেঞ্জের তালিভুক্ত হতে হয়। প্রতি মাসে প্রিমিয়াম আয়ের ৩০ শতাংশ সরকারী বন্ড কেনা বাধ্যতামূলক; যেটাকে গ্যারান্টি মানি বা লাইফ ফান্ড বলে। কমিশন, ব্যবস্থাপনার খরচ, স্টাফদের বেতন-ভাতার পরেই না আসে বিনিয়োগ; তার উপর নামসর্বস্ব কোম্পানিগুলোর ক্ষুরধার আঁচড় তো আছেই; আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা; সবকিছু সহ্য করে লাভে রান করে টিকে থাকা, কষ্ট আছেরে ভাই!

♣ ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক লিমিটেড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সময়ের পরিক্রমায় আজ অবধি সুনামের সহিত সকল সরকারী আইন ও নীতিমালা মেনে পরিচ্ছন্ন ও নিরবিচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ভালোভাবেই টিকে রয়েছে। গ্রাহক সেবাই যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। বিগত বছরগুলোতে অজস্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কারগুলো এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে।

♣ টাকা মেরেছে লোকে; উপায়ন্তর না দেখে, দোষ দাও ঘরের সুন্দরী বউরে। উদোর পিণ্ডি, বুদোর ঘাড়ে! এটা জাতির জন্য হাস্যকর! এখানে মরার আগেই মরার সার্টিফিকেট মেলে। বেশি লোভ ভালো না। ভালোটা খুঁজতে হয়। খারাপটা দুয়ারে বারবার কড়া নাড়ে। ভালোটা একবার-দুবার ঘুরে অন্য দুয়ারে চলে যায়। কারণ, একই সুযোগ বারবার আসে না। একবারই আসে।

♣ অনেকটা এ গল্পের মত, ঠগির সাথে বেচারা পিরিত করে সর্বস্ব খুইয়েছে। বেচারা ঠকেছে! এখন যা দেখে সবই তার খারাপ মনে হয়। চোখে তার আর ভালো বলে কিছু নেই। এমনকি জোরগলায় মানুষকে এ বলে সে সতর্ক করে বেড়ায়, 'মেয়ে মানুষ মানেই খারাপ'! আশ্চর্য ব্যাপার! তাই বলে কি মানুষ বিয়ে করছে না! করছে! করবে! ভালো-মন্দ মিলিয়েই তো দুনিয়াদারি। দুটোই থাকবে। বুঝে চলতে হয়। নিজেকে পাগল সাব্যস্ত করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে, যারে তারে বাচ-বিচারহীভাবে ভালো বা খারাপ বলা!

♣ এজন্য বলি, প্রত্যেকটা মানুষের আর্থিক সাক্ষরতা দরকার আগে। যাতে করে মানুষ লোভ সংবরণ করতে শেখে। আর্থিক সাক্ষরতা লোভ সংবরণ করতে শেখায়। বিভিন্ন উপায়ে এটা শেখা যায়। পড়ে শেখা যায়, শুনে শেখা যায়, দেখে শেখা যায়। শুধু সঠিকটা যাচাই করার দক্ষতা থাকলেই আপনি পারবেন। আর্থিক সাক্ষরতাহীন লোক কখনোই সচ্ছল তো হয় না, এমনকি সুখ তারে উঁকি মেরে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। 

♣ তবে, এটা ঠিক কতিপয় ইনস্যুরেন্স কোম্পানি তাদের গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এর বহুবিধ কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে, অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা সরকারের ঘোষিত সকল নীতিমালা মেনে কাজ করছে না। তবে, সরকারের ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এণ্ড রেগুলেটরি অথরিটি এসব বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেষণে ইনস্যুরেন্স সেক্টরে সামনের দিনগুলোতে বড় বড় পরিবর্তন আসছে, আসবে।

♣ এছাড়াও, তাদের লাইফ ফান্ডের পরিমান কম। ব্যবস্থাপনার খরচ অনেক বেশি। সুষ্ঠু বিনিয়োগ নেই। তাদের মাঠকর্মীগণ পলিসি সেল করেই দায়িত্ব শেষ মনে করে। কিন্তু, ইনস্যুরেন্স কর্মীর দায়িত্ব হচ্ছে মেয়াদ শেষে গ্রাহকের টাকা পেতেও সহযোগিতা করা। হাতে গোনা দু'একটা কোম্পানি বাদে অন্য কোম্পানির কর্মীগণ এটা করে বলে খুঁজে পাইনি। বেশিরভাগকে পালাতে শুনেছি। একটু চেষ্টা করলে এটা সম্ভব; কিন্তু, তারা করে না। ব্যক্তি-মানুষ হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করা মনে হয় মগজে ধারণ করার সৎসাহস তাদের নেই!

♣ এজন্য কেউ ইনস্যুরেন্স করতে বললে আগে তার কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে, বুঝে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন। এমনকি যে ব্যক্তির সহায়তায় ইনস্যুরেন্স করবেন, তার আর্থিক সততাও নিরীক্ষা করুন। কারণ, আর্থিক কর্মকাণ্ডে সবার আগে বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করতে হয়। পরে ভোগান্তিতে পড়ে আবার সব ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে গালি-গালাজ করবেন না। কারণ, সব মানুষ ভালো হবে বা সব কোম্পানি যে লাভে রান করবে, এমনটা ভাবা বোকামি। এটা এক ধরণের বৈধ আর্থিক ব্যবসা। ভালো-মন্দ মানুষ থাকবে। লাভ-লস থাকবে। নিশ্চিত।

♣ আমাদের ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড জন্মলগ্ন থেকে ভালো ব্যবসা করে দেশের শীর্ষ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির খেতাব ধরে রেখেছে এবং আমাদের সকল কর্মীগণ যথাযথ দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। সঠিক তথ্য দিয়ে ইনস্যুরেন্স করানো ও মেয়াদোত্তর দাবি আদায়, সার্ভাইবাল বেনিফিট বা বোনাস প্রাপ্তিতে তারা গ্রাহককে সহযোগিতা করে থাকে। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন। এর সত্যতা পাবেন। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ!

♦ আসুন সঠিক যায়গায়, সঠিক পন্থায় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির সহায়তায় ইনস্যুরেন্স করে নিজেকে, নিজের পরিবারের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখি ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।

♦ যে কোন প্রয়োজনে নিঃসঙ্কোচে যোগাযোগ করুনঃ
আব্দুর রহিম,
ফাইন্যানসিয়াল এসোসিয়েট,
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যূরেন্স কোম্পানি লিমিটেড,
ধুলিহর ব্লক-৫৫৩৮, সাতক্ষীরা।
মোবাইলঃ ০১৭৯৩-৬৮৮৭৩৩.