সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লাইফ ইনস্যুরেন্স সমাচার


লাইফ ইনস্যুরেন্স বা জীবন বীমা কেন করবেনঃ
মানুষের জীবন বা মৃত্যু যেটাই বলেন, সবই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হাতে। আমরা কেউই প্রিয়জনদের হারাতে চাই না; তবুও, আমাদের এই নির্মম সত্যের সম্মূখীন সবারই হতে হয়। এমনকি এটি সবার ক্ষেত্রে ঘটা স্বাভাবিক। কোন কারণে যদি এমনটা ঘটে যায়, তখন প্রিয়জনের মৃত্যুজনিত মানসিক বেদনার সাথে আর্থিক সংকটেরও মুখোমুখি হতে হয় সকলের পরিবারকে। ঠিক এই সময়ে একটি লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক বিপদ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লাইফ ইনস্যুরেন্সের নিয়মানুযায়ী, ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে যদি গ্রাহকের মৃত্যু হয়, তাহলে তার পরিবার ইনস্যুরেন্স পলিসির সম্পূর্ণ টাকা পায়। ধরুন, আপনি ২ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই আপনি মারা গেছেন; সেক্ষেত্রে আপনার পরিবার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে পুরো ২ লাখ টাকা পাবে, যা আপনার পরিবারের আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।

আসুন পরিবারকে ভালোবাসি, এটাই চিরন্তনঃ
আমরা মানুষ। আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পরিবারকে কেন্দ্র করে। আপনি মারা গেলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে; তারাই আপনার জন্য কাঁদবে; বাকিরা সুযোগ খুঁজবে। আপনি বড় ধরনের সংকটে পড়লে আপনার পরিবারই পাশে থাকবে, না হলে কাউকে পাশে পাবেন না। কাজেই, পরিবারের প্রতিই আমরা দায়বদ্ধ ও ঋণী। একটু ভালো থাকার জন্য, ভালো রাখার জন্য বাবা-মায়ের কত চেষ্টা, কত আকুতিই না করতে দেখি। এজন্য দেখবেন, ভালো মানুষ পরিবারের জন্য কত কিছুই না করে। এক্ষেত্রে পরিবারকে ভালো রাখার জন্য; বিপদে আপদে রক্ষার জন্য একমাত্র আর্থিক ভিত্তিই বড় ভূমিকা পালন করে। আর এ আর্থিক ভিত্তি গড়ে ওঠে আপনার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে কেন্দ্র করে। সঠিক যায়গায়, সঠিক পন্থায় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির সহায়তায় কাজটি করতে পারলে, জীবন আরো মসৃণ হয়।

চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতাঃ
অনেক লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসিতে কতগুলো রোগের চিকিৎসা ও দূর্ঘটনার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত থাকে। এমন পলিসির গ্রাহক যদি দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অঙ্গহানি ঘটে; সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা পাবে। আপনার করা পলিসিতে যদি এই বিষয়টি উল্লেখ করা থাকে, তাহলে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে হাতের কোনো একটি আঙুল হারালেও, আপনি আপনার করা পলিসির মোট টাকার চার ভাগের একভাগ টাকা পাবেন। যেহেতু ২ লাখ টাকার পলিসি সেহেতু আপনি ইনস্যূরেন্স কোম্পানি থেকে ৫০ হাজার টাকা পাবেন।
দূর্ঘটনায় অঙ্গহানি, কিডনি নষ্ট হওয়া, হার্ট অ্যাটাকসহ আরও বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করে থাকে ইনস্যূরেন্স কোম্পানিগুলো।

ঋণ নাকি সঞ্চয় কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের দেশের মানুষের আরেকটি বড় প্রবণতা হচ্ছে, তারা অত্যধিক ঋণপ্রবণ। ঋণের বেড়াজালে আটকে অনেককে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে দেখেছি। মারা গেলে ঋণমুক্তি মেলে। এদিকে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানও নির্ভাবনায় ঋণ মওকুফ করে দেয়। সেটাও ইনস্যুরেন্সের কল্যাণে। কারণ, ঋণ নেয়ার আগেই তারা ইনস্যুরেন্সের টাকা নিয়ে নেয় ঋণগ্রহিতার কাছ থেকে। অথচ, ইনস্যুরেন্সের ব্যাপারে বাইরে এসে অনেকে অনেক নেতিবাচক কথা বলে বেড়ায়। এগুলো অন্যায়! নিরাপত্তার স্বার্থে আপনি ইনস্যুরেন্সের সাহায্য নিচ্ছেন। আবার বিপরীতে ইনস্যুরেন্সের দূর্নামও ছড়াচ্ছেন। বাহ্, কি সুন্দর দ্বিচারিতা!
আমি আমার পলিসি হোল্ডারদের সব সময়ই বলি, ঋণের বোঝা ঝেড়ে সঞ্চয় করে খরচ করুন। দেখবেন, কাজও সুন্দর হবে, মন-মেজাজও ফুরফুরে থাকবে। প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠবেন নতুন একজন উৎপাদনশীল মানুষ হয়ে। আর সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হতে পারে আপনার জন্য ইনস্যুরেন্স। কারণ, একের ভিতর অনেক আর্থিক সুবিধাদি আপনি এখানে পেয়ে যাচ্ছেন। তবে, সঠিক যায়গায়, সঠিক পন্থায় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির সহায়তায় কাজটি করতে হবে। তানাহলে, আবার ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা আমাদের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে ও আমাকে বেছে নিতে পারেন। খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের সম্পর্কে জানুন। আশাকরি, ভালো কিছু পাবেন।
মুদ্রাস্ফিতি বাড়লে ব্যাংকে রাখা টাকার মান কমে যায়। যার ফলে টাকার পরিমানটাও স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এটা অস্বীকার করার জো নেই। যেটা বিদ্যাবুদ্ধিহীন কপর্দকশূন্য লোকের পক্ষে উপলব্ধি করা অসম্ভব। কাজেই, এক্ষেত্রেও ইনস্যুরেন্সে ইনভেস্ট করা নিরাপদ। এখানে আপনি যে বোনাস অর্জন করবেন, মুদ্রাস্ফিতি আপনার টাকার এককোণও ছিড়তে পারবে না।

কেন আপনি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ইনস্যুরেন্স করবেন?
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক লিমিটেড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আজ অবধি সুনামের সাথে পরিচ্ছন্ন ও নিরবিচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
আমাদের রয়েছে ৪৭৭৫ কোটি টাকার সিকিউরিটি মানি, যেটাকে বলা হয় লাইফ ফান্ড; এটা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যেখানে বাংলাদেশের অন্য কোন লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির লাইফ ফান্ড ১০০০ কোটি টাকা ক্রস করতে পারেনি; সেখানে আমাদের ৪৭৭৫ কোটি টাকার লাইফ ফান্ড রয়েছে। রয়েছে শক্তিশালী, আন্তরিক ও স্বচ্ছ ম্যানেজমেন্ট টিম। সরকারী নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের নিকট রয়েছে জবাবদিহিতা। এছাড়াও রয়েছে অজস্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড। স্বল্প সময়ে গ্রাহকের দাবি ও টাকা পরিশোধেও আমরা রেকর্ড গড়েছি। আমরা দাবি বা বোনাসসহ গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেছি সর্বমোট ৮৬৭১ কোটি টাকা। বিনিয়োগ ক্ষেত্রেও আমরা যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছি। প্রায় ৫০৩৬ কোটি টাকার উর্ধ্বে লাভজনক বিনিয়োগ রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। কোম্পানি হিসেবে আমাদের রয়েছে ৫৭২৩ কোটি টাকার উর্ধ্বে সম্পদের সম্ভার। নিজস্ব ভবনে নিজস্ব অফিস গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে রয়েছি। ২৭ টি বৃহত্তর জেলাতে রয়েছে আমাদের নিজস্ব ভবনে নিজস্ব অফিস। আরো অনেক জেলাতে কাজ চলমান রয়েছে। এখানে হারানোর কোন ভয় নেই। নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

কেন আপনি আমার কাছে ইনস্যুরেন্স পলিসি করবেন?
প্রথমত, আমি আপনাকে ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবো। কারণ, ইনস্যুরেন্স সম্পর্কে রয়েছে আমার বিস্তর পড়ালেখা ও জানাশোনা।
দ্বিতীয়ত, মেয়াদ শেষে অথবা মৃত্যুজনিত দাবি আদায়ে আপনাকে সহযোগিতা করবো। এছাড়াও, সার্ভাইভাল বেনিফিট বা অর্জিত বোনাস পেতেও সহায়তা করবো।
তৃতীয়ত, প্রযুক্তির সহায়তায় আপনার ইনস্যুরেন্স পলিসির বর্তমান অবস্থা জানতে ও সঠিক সময়ে ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দিতে সহায়তা করবো।
চতুর্থত, ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত যেকোন সহযোগিতা আমার কাছ থেকে আপনি পাবেন, যদি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে একটি ইনস্যুরেন্স পলিসি আপনার থাকে।
কাজেই, আপনারা যারা এখনো ইনস্যুরেন্স করেননি; অতি দ্রুত ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে একটি ইনস্যুরেন্স পলিসি করুন। ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
"আসুন সঠিক যায়গায়, সঠিক পন্থায় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির সহায়তায় ইনস্যুরেন্স করে নিজেকে, নিজের পরিবারের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখি ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।"

যে কোন প্রয়োজনে কোনরূপ সংকোচ ছাড়াই যোগাযোগ করুনঃ
আব্দুর রহিম,
ফাইন্যানসিয়াল এসোসিয়েট,
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যূরেন্স কোম্পানি লিমিটেড,
ধুলিহর ব্লক-৫৫৩৮, সাতক্ষীরা।
মোবাইলঃ ০১৭৯৩-৬৮৮৭৩৩.