সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আধিপত্যকামী মানুষ ও বিরোধীতত্ত্ব


পৃথিবীর এমন কোন প্রাণী বা বস্তু নেই যে যার শত্রু নেই। একটু ভেবে দেখুন তো, আসলেই কথাটা কতটা যুক্তিযুক্ত। আপনিই হয়তোবা একটু আগেই কারো বিরোধীতা করে কথা বলেছেন। আবার কেউ হয়তোবা আপনার বিরোধীতা করে কটুক্তি করছে; যা আপনার অজানা।

পৃথিবীতে সব কথা ও কাজের, প্রতিপক্ষ বা বিরোধী রয়েছে। চাইলেই আপনি তা নির্মূল করতে পারবেন না। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে এটা ছিল, আছে এবং থাকবে। তদনুসারে বুঝে এগিয়ে চলা বুদ্ধিমান লোকের পরিচয়। একে-অন্যের বিরোধ শুরু হয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। আধিপত্য বিস্তার সকল প্রাণীকুলের সমাজে চিরাচরিত রীতি। সেটা বুদ্ধিবৃত্তিক হোক বা বাহ্যিক অথবা অন্য যেকোন ধরনের। নিজের চিন্তা জগতেরও বিরোধ রয়েছে প্রতিটি মানুষের।

আধিপত্যকামিতা মানুষের এক চরমতম রোগ। যার কারণে সমাজে নানান ধরনের অসঙ্গতি বিরাজমান ও সমাজ সমস্যা সংকুল। নিজস্ব ভাবনার যায়গা থেকে মানুষ হিসেবে যখন আপনি অন্য কাউকে অবমূল্যায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত হবেন; বিপত্তিটা বাধে ঠিক তখনি। অবমূল্যায়নের চেতনা জাগে নিজেকে জাহির করা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মনোবাসনা থেকে। নিজেকে অন্যের উপর জোর করে প্রতিষ্ঠা করা; নিজের ভালো লাগা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়াটা একেবারে অন্যায়।

আপনার ভালো লাগা না লাগা দিয়ে আপনি চলতে পারেন। কিন্তু, অন্য একজনের জীবন চলবে না। কারণ, ব্যক্তিসত্তার স্বাতন্ত্র্যবোধ। বোধবৃক্ষের তলে জল ঢালো। উন্নত করো বোধের মূল। নিজস্বতা খুব সাধারন একটি ঘটনা। কিন্তু, আপনার নিজস্বতা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়াটা কার্যত অপরাধের শামিল। অন্যের চলাটা নিয়ে না ভেবে নিজের চলা নিয়ে ভাবুন। প্রকৃত সুখ পাবেন।